জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে গণপরিবহনে অস্বাভাবিক হারে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। তা বন্ধসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৮ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে ছাত্রনেতা ইসমাইল সম্রাট এর সভাপতিত্বে।
এসময় আন্দোলনকারীরা বলেন, গত ৭ আগস্ট রাত ১২টা থেকে আকস্মিক জ্বালানি তেলের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়ানো হয়। যার ফলে গণপরিবহনের ভাড়া অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। যা বহন করা সাধারণের পক্ষে সম্ভব নয়। শিক্ষার্থীদের পক্ষে যা আরও অসম্ভব।
এসময় সভার সভাপতি সাত কলেজ আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ইসমাইল সম্রাট বলেন, গণপরিবহনে ভাড়ার নামে নৈরাজ চলছে, তা বন্ধ করতে হবে। পরিবহন মালিকদের করা এই ওয়েবিলের কারণে নির্ধারিত ভাড়ার প্রায় দুই থেকে তিন গুণ বেশি টাকা গুনতে হয় যাত্রীদের। বছরের পর বছর এই ওয়েবিল নৈরাজ্য চলে এলেও কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না সরকার। ওয়েবিল যেন যাত্রীদের গলার কাঁটা। অবিলম্বে এটি বন্ধ হওয়া দরকার।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, ওয়েবিল বন্ধ করতে হবে। এটা অবৈধ। ওয়েবিল দেখিয়ে ভাড়া বেশি নেওয়া হচ্ছে। যাত্রীরা এটাকে বৈধ মনে করে কেউ কিছু বলছে না। সবাইকে একযোগে প্রতিবাদ করতে হবে।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বৃদ্ধিকৃত জ্বালানি তেলের দাম কমানো, গণপরিবহনে ভাড়া না বাড়ানো, এবং গণপরিবহনে ভাড়ার নামে নৈরাজ বন্ধ করার দাবি জানান।