রাসেল আদিত্য,বিপি নিউজ ডেস্ক।।
ওয়ান ইলেভেনের কথা যেমন কোনদিনই বিস্মৃত হবার নয়,তেমনি বিস্মৃত হবার নয় মাইনাস টু ফর্মূলার বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী,আওয়ামীলীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বিনা অপরাধে কারাবন্দী করার ঘটনাও।বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে সবচেয়ে কঠিন সময় পাড়ি দিতে হয়েছে রাজনীতিবিদগণকে আলোচিত সমালোচিত সেই
ওয়ান ইলেভেনের দুই বছর।
লন্ডনে গিয়েছিলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।মাইনাস টু ফর্মূলার নেপথ্যের কুশীলবরা বিভিন্নভাবে জানান দিচ্ছিলেন,দেশে ফিরলেই গ্রেফতার করা হবে তাঁকে। বিভিন্ন মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরতে নিরুৎসাহিত করা হয়।দেশে তখন আওয়ামীলীগ ও বিএনপির প্রায় সকল শীর্ষ ও জাতীয় নেতৃবৃন্দকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।অনেককে নির্যাতন করে পিডিবি নামের (সেনা ও মাইনাস টু ফর্মূলার কুশীলবদের পৃষ্ঠপোষকতায় গড়া নব্য রাজনৈতিক দল)দলে যোগ দিতে বাধ্য করা হচ্ছিল।সে এক চরম অরাজক পরিস্থিতি বিরাজমান ছিলো দেশে।
কিন্তু শত রক্তচক্ষু আর হুমকিতে টলানো যায়নি তখন বঙ্গবন্ধু কন্যাকে।শত বারণ সত্ত্বেও তিনি নিজের দেশে ফিরে এসেছিলেন।আর ফখরুদ্দীন সরকার বিনা অপরাধে আটক করেছিলো জননেত্রী শেখ হাসিনাকে।
ক্ষমতা নিয়ে দেশের সকল সেক্টরে শুদ্ধি অভিযান চালিয়ে সাধারণ মানুষের নিকট ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পেয়ে যাওয়া ফখরুদ্দীন সরকার তাঁদের সবচেয়ে বড় ভুলটি করে বসে শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করে।মিছিল
মিটিং সমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মানুষ ফুঁসে ওঠে।দেশের আনাচে কানাচে প্রতিবাদী হয়ে ওঠে সাধারণ মানুষ।অবস্থা বেগতিক দেখে শেষ পর্যন্ত আজকের এই দিনে তথা ১১ ই জুন শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় ফখরুদ্দীন সরকার।১৯৮১ সালের দৃশ্যের পুনঃ মঞ্চায়ন দেখে বাংলাদেশ সহ সারা পৃথিবী।
শেখ হাসিনার বাসভবনের কয়েক কিলোমিটার জুড়ে মানুষের স্রোত।বঙ্গবন্ধু কন্যাকে একনজর দেখতে সকল নিষেধাজ্ঞা ভেঙে বেড়িয়ে এসেছিলো মানুষ।সেই ধারাবাহিকতায় নির্বাচন দিতে বাধ্য হয় ফখরুদ্দীন সরকার।ব্যর্থ হয় মাইনাস টু ফর্মূলা।
জননেত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস হিসেবে সেই থেকে প্রতি বছর ১১ ই জুন বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করে থাকে আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলো।