শামীম ওসমানের ক্যাডার যুবলীগ নেতা কাজী জহিরের বিরুদ্ধে জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ!
বন্দর প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের বন্দরে নাজির হোসেনের জমি দখলের পায়ঁতারা করার অভিযোগ উঠেছে যুবলীগ নেতা কাজী জহিরের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী পরিবার বলছে, জায়গার কাগজপত্র ও নিয়মিত জমির খাজনা দিয়ে আসলেও তাদের জায়গা দখল নেওয়ার পাঁয়তারা করছেন।
অভিযুক্ত কাজী জহির বন্দর পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। তার বিরুদ্ধে রয়েছে হাফেজ আনিছ হত্যা মামলা।
ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, নাসিক ২৩নং ওয়ার্ডের আরসীম গেইট এলাকার মৃত ক্বারী আব্দুল হকের ছেলে মোঃ ইব্রাহিম এর কাছ থেকে ২০১৩ সালে গঙ্গাকুল বন্দর (ম খন্ড) মৌজায় ৪২ শতাংশ জায়গা থেকে সোয়া তিন শতাংশ জমি কেনেন নাজির হোসেন। তিনি ওই জমি ভোগ দখল করে আসছিলেন। সরকারিভাবে জায়গার খাজনাও দিয়ে যাচ্ছেন নিয়মিত। তারপরও হয়রানীর শিকার হচ্ছেন পরিবারটি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতা থাকা অবস্থায় কাজী জহির বন্দর পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি শামীম ওসমানের ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে নিরীহ মানুষের জমি জোরপূর্বক কম টাকায় কিনে নিয়েছেন। গড়ে তোলের অঢেল সম্পত্তি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও পালিয়ে গেছেন স্থানীয় অনেক প্রভাবশালী নেতারা। অনেকের নামে মামলা হলেও রহস্যজনক কারণে মামলা থেকে বাদ পড়েন কাজী জহির। কিন্তু আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতা থেকে গেলেও বর্তমানে বন্দর ২২নং ওয়ার্ডের কিছু বি এন পির নেতার ছত্রছায়ায় বুক ফুলিয়ে চলছে এবং এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে এলাকায় জমি দখলের চেষ্ঠা অব্যাহত রেখেছেন।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে দমিয়ে রাখতে শামীম ওসমানের নির্দেশে বন্দর পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী জহিরের নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা উজ্জল দে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে চাষাড়ায় অবস্থান নেন এবং ছাত্রদের উপর গুলি ছোড়েন। ওই হামলায়ও কাজী জহিরের লোক উজ্জল দে উপস্থিত ছিলেন। ওই ঘটনায় শামীম ওসমানসহ প্রভাবশালী নেতাদের নামে মামলা হলেও বাদ পড়েন কাজী জহির ও উজ্জল দে।
জমি দখলের বিষয়ে জানতে চেয়ে বন্দর পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী জহিরের ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি কল রিসিভ করেনি।