সিলেটের ছাত্র রাজনীতিতে এক অনন্য উদাহরণ হাজারো ছাত্র সমাজের আস্থা ও বিশ্বস্ততার প্রতীক সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সংগ্রামী সভাপতি নাজমুল ইসলাম। নিজে ত্যাগ স্বীকার করে অন্যকে সুযোগ করে দেওয়া নাজমুল ইসলামের রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ঠ। যার উদাহরণ হচ্ছে তিনি দীর্ঘদিন পদ বঞ্চিত থেকেও রাজনীতি থেকে একটুও পিছপা হননি। তাঁর সততা ও বিশ্বস্থতার ওপর ভিত্তি করে হাজারো ছাত্রলীগ কর্মী জয় বাংলা মিছিল দিয়ে পূণ্যভূমি সিলেটের মাঠিকে প্রকম্পিত করে তুলতো। জননেত্রী শেখ হাসিনার যেকোন নির্দেশকে প্রাণপণ চেষ্ঠা করে সিলেটের মাঠিতে ছাত্রলীগ কর্মীদের নিয়ে বাস্তবায়ন করতেন। এ জন্য তাঁকে নিজ দলসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা বার বার হয়রানীতের ফেলার অপচেষ্ঠা করেছে। ছাত্রলীগের সাধারণ কর্মীদের কাছে জনপ্রিয় নেতা নাজমুল ইসলামের বিরুদ্ধে বহুবার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছিলো কুচক্রী মহল। শুধু মাত্র নাজমুল ইসলাম নিজের মেধা ও সততা দিয়ে সকল ষড়যন্ত্রের জাল ছেদ করে তিনি রাজপথে লড়ে গেছেন। সিলেটের হাজারো ছাত্রলীগের কাছে নিবেদিত একটি প্রাণ নাজমুল ইসলাম।
শিক্ষক মা-বাবার সন্তান নাজমুল ইসলাম মাধ্যমিক লেভেলে লেখাপড়ায় থাকাকালেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে মনোনিবেশ করেন। এরপর মাধ্যমিকের গন্ডি পেরিয়ে সিলেট সরকারি কলেজে ভর্তি হয়ে পুরোদমে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন। শত প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করেও ছাত্রলীগের পতাকা নিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়নে নিজেকে উৎসর্গ করে দেন। কলেজ ক্যাম্পাসে বার বার শিবির-ছাত্রদল নৈরাজ্য সৃষ্টি করে সরকারকে বিপাকে ফেলার ষড়যন্ত্র করেছে। তখন নাজমুল ইসলামের নেতৃত্বেই ছাত্রলীগ কর্মীরা মোকাবেলা করেছে। তাঁর দূরদর্শী রাজনীতির সুফল হিসেবে সিলেট এমসি কলেজ ও সিলেট সরকারি কলেজে ছাত্রলীগের রাজনীতি শক্তিশালী অবস্থানে দাঁড়াতে পেরেছে। দেশে যখনই স্বাধীনতা বিরোধী মহল গর্জে উঠেছিলো তখনই ছাত্র সমাজকে নিয়ে একের পর এক ব্যতিক্রমী রাজনৈতিক কর্মসূচি হাতে নেন পদপদবী বিহীন নাজমুল ইসলাম। এতে সিলেটের মাটিতে ছাত্রলীগের রাজনীতি চাঙ্গা হয়ে উঠে। কলেজ ক্যাম্পাস ছাড়াও সিলেটের মাটিতে যখনই জামায়াত, শিবির, বিএনপি নাশকতা করেছে তখনই প্রতিরোধে অগ্রসারিতে থেকে জীবনের ঝূঁকি নিয়েছেন আজকের জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নাজমুল ইসলাম। দীর্ঘদিন পদপদবীর বাইরে থেকেও থেমে না যাওয়া এক সাহসী মেধাবী নেতা নাজমুল ইসলাম। তাঁকে ছাত্রলীগের সভাপতি পদে আরো আগে পুরষ্কৃত করা উচিত ছিলো কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের। নিজের কৈশোর ও যৌবনের সবটুকু সময়ই ছাত্রলীগকে দিয়েছেন। তিনি যে একজন প্রকৃত কর্মী দরদী নেতা যার প্রমাণ আমি নিজেই। আমি জাহাঙ্গীর সাহেদ জকিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের একজন ক্ষুদ্র কর্মী হলেও নাজমুল ইসলাম সবসময়ই ¯েœহ করতেন। যেকোন সময় ম্যাসেজ কিংবা কল দিলে মায়াভরা কন্ঠে কথা বলতেন। মনে হতো নিজের রক্তের কেউ হয়তো খোঁজখবর নিচ্ছেন। তিনি এক সময় আমি যখন নাজমুল ভাইয়ের ভক্ত হয়ে ফেসবুকে তাঁকে নিয়ে প্রচারণা চালাতাম। কিন্তু তখন অনেকের ত্যাড়া নজরে পড়েছিলাম। কিন্তু বাংলাদেশ ছাত্রলীগ উনাকে সিলেট জেলার সভাপতি নির্বাচিত করার খবরে আমি খুবই আনন্দিত হয়েছি। শুধু আমি নয় আমার মতো হাজার হাজার ক্ষুদ্র অবহেলিত কর্মীর মনে আনন্দের ঢেউ উঠেছে। গতকাল রোববার রাতে আমি যখন নাজমুল ভাইয়ের সাথে ফুল নিয়ে দেখা করতে যাই তিনি তখন অন্তরের অন্তস্থল থেকে আমাকে আদর-¯েœহ করেছেন। শেষ পর্যন্ত নিজের মোবাইল ফোন দিয়ে আমার সাথে ছবি তুলেছেন। এবং একটি ফুলের তোড়া নিয়ে গিয়েছিলাম তখন বলেছেন এ ফুল সাধারণ ছাত্রলীগ কর্মীদেরকে আমি উৎসর্গ করতে চাই। তাঁর এ সফলতা তৃণমূল ছাত্রলীগের ভালোবাসার ফসল।
একজন নাজমুল ইসলাম যে পরিচ্ছন্ন রাজনীতির এক অনন্য উদাহরণ তার বড় একটি প্রমাণ হচ্ছে, গত কয়েক মাস আগে অনুষ্ঠিত হওয়া ছাত্রলীগের জেলা সম্মেলনে বড় শোডাউনের মাধ্যমে নাজমুল ইসলামের গ্রহযোগ্যতার দেখে যায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। দীর্ঘ কয়েক বছর থেকে পদপদবী ছাড়াই ছাত্রলীগে ঘাম ঝরানো কারণে তিনি কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হন। তাঁর এই যোগ্যতার পেছনে অক্লান্ত পরিশ্রম করে বলিষ্ট ভূমিকা রেখেছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সাংগঠনিক সম্পাদক বার বার নির্যাতিত নেতা ও ভাটি বাংলার সিংহ পুরুষ সুনামগঞ্জের মাঠি-মানুষের কন্ঠসুর এডভোকেট রণজিৎ সরকার, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা যুবলীগের অন্যতম কান্ডারী হাজারো যুবনেতার আস্থার ঠিকানা জাহাঙ্গীর আলম, নাজমুল ইসলামের আপন বড় ভাই সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ও মহানগর সেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ালিউল্লাহ বদরুল, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক যুবনেতা কামরুল ইসলাম। তাঁদের নির্দেশনায় রাজপথে লড়ে যাওয়া নাজমুল ইসলামকে দীর্ঘদিন পর বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সিলেট জেলা শাখার সভাপতি নির্বাচিত করায় তৃণমূল ছাত্রলীগ আজ খুবই আনন্দিত।
যার প্রমাণ হিসেবে বলা যায়, নাজমুল ইসলাম জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার কারণে ঝিমিয়ে পড়া ছাত্রলীগ আবারো গর্জে উঠেছে। প্রতিটি উপজেলায় উপজেলায় ও কলেজ ক্যাম্পাসগুলোতে আনন্দ মিছিল অব্যাহত রয়েছে। তৃণমূলের মাঝে ফিরে এসেছে প্রাণচাঞ্চল্য। তিনি নিজ শিক্ষকদের কাছ থেকেও ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়েছেন। এতে প্রমাণ করে নাজমুল ইসলাম-ই ছাত্রলীগের একজন সুযোগ্য কান্ডারী। তাঁর নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে সিলেট জেলা ছাত্রলীগ। মূল্যায়িত হবে ত্যাগী, মেধাবী ছাত্রলীগ কর্মীরা।
রাজনীতির পাশাপাশি নাজমুল ইসলাম বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথেও যুক্ত থাকেন সবসময়। আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে ভালোবেসে তাঁর পরিবার অনেক ক্ষতির শিকার হয়েছে। তিনির বড়ভাই ভাই সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ও মহানগর সেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ালিউল্লাহ বদরুল, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক যুবনেতা কামরুল ইসলাম বার বার ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ হয়েও সবসময় অবমূল্যায়িত হয়েছেন। তবুও হাল ছাড়েননি। নিজেদের মান-অভিমানকে উপেক্ষা করে রাজপথে লড়ে গেছেন সর্বদা। জননেত্রী শেখ হাসিনার ভিশন বাস্তবায়নে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে কাজ করেছেন। তাঁদের সুদক্ষ নেতৃত্বের কারণে অতীতের অনেক সময়ের চেয়ে অধিক চাঙ্গা হয়ে উঠেছে আওয়ামী পরিবারের রাজনীতি। নাজমুল ইসলামের নেতৃত্বেও সিলেট জেলা ছাত্রলীগ শক্তিশালী অবস্থানে দাঁড়াতে পারবে। যেকোন অপশক্তি মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাবে। তৃণমূলের প্রাণ নাজমুল ইসলামের পেছনে রয়েছে হাজার হাজার ছাত্রলীগ কর্মী।
আমি জকিগঞ্জের জাহাঙ্গীর সাহেদের মত হাজারো ক্ষুদ্র কর্মীদের বিশ্বাস, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নেতৃত্ব নির্বাচনে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। ছাত্রলীগে নাজমুল ভাইদের মতো কর্মীদেরকে মূল্যায়ন করার দাবী বহু পুরনো। যোগ্যদের হাতেই এসেছে পূণ্যভূমি সিলেটের নেতৃত্ব। এই পূণ্যভূমিতে নাজমুল ইসলামের রাজনৈতিক দক্ষতায় আগামীর সঠিক নেতৃত্ব সৃষ্টির সুযোগ হয়েছে। এ জন্য সিলেট জেলা শাখার আওতাধীন ছাত্রলীগ কর্মীরা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের প্রতি অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছে। এগিয়ে যাক প্রাণের সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এগিয়ে যাক সিলেট জেলা শাখা। জননেত্রীর সকল উন্নয়নে নাজমুল-রাহেল পরিষদ সবসময় সোচ্চার রয়েছে-থাকবে। এই সিলেটের মাটিতে কোন অপশক্তির স্থান নেই। রাজপথে সকল অপশক্তি মোকাবেলা করেই এগিয়ে যাবে প্রাণের সংগঠন। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধ, জয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
লেখক: জাহাঙ্গীর সাহেদ, জকিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ।