ফতুল্লার গাবতলীর টাগাড়পাড়ে চাঁদার দাবীতে সন্ত্রাসীদের হামলায় কন্ট্রাক্টর গুরুতর আহত, থানায় অভিযোগ।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার গাবতলীতে চাদার দাবীতে সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর জখম হয়েছে একজন বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন কন্ট্রাক্টর।
গত ১১ ডিসেম্বর শনিবার দুপুর ২টার দিকে গাবতলীর টাগারপাড় এলাকার মোস্তফার বিল্ডিংয়ের ৩য় তলায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। আহত কন্ট্রাক্টরের নাম মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, তিনি চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগন্জ থানার চর সৈয়ুব মন্ডলপাড়ার মোঃ আফসার আলীর ছেলে। জাহাঙ্গীর বিগত ১০ বছর ধরে ফতুল্লার লালপুর এলাকার পঞ্চবটী মর্ডান হাউজিং সোসাইটিতে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছে এবং ফতুল্লার বিভিন্ন এলাকার বিল্ডিংয়ের কন্ট্রাক্টরী কাজ করে আসছিলেন।
সন্ত্রাসী হামলায় আহত হওয়ার ঘটনায় জাহাঙ্গীর আলম ফতুল্লা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগসূত্রে জানা যায়, গতকাল ১১ ডিসেম্বর শনিবার দুপুর ২ টার দিকে একটি অজ্ঞাত নম্বর থেকে এক যুবক জাহাঙ্গীরের মোবাইলে কল দিয়ে বিল্ডিংয়ের কাজের কথা বলে গাবতলী টাগারপাড় এলাকার জাজিরা গার্মেন্টসের সামনে যেতে বলে। জাহাঙ্গীর তাৎক্ষনিক ঐ জাজিরা গার্মেন্টসের সামনে গেলে এক যুবক এসে কথা আছে বলে মোস্তফার বিল্ডিংয়ের ৩য় তলায় একটি রুমে নিয়ে আসে যেখানে ১০-১২ জন সন্ত্রাসী আগে থেকেই অবস্থান করছিলো যাদের হাতে ছিলো রড, কাঠের ডাসা। রুমে ঢুকার পর সন্ত্রাসীরা জাহাঙ্গীরের কাছে চাঁদা বাদী করলে সে তার প্রতিবাদ করে। এরপর সবাই একজোট হয়ে জাহাঙ্গীরের পায়ে, পিঠে, বুকে, মাথায় আঘাত করে গুরুতর জখম করে। এসময় তার বাম পায়ের গোড়ালীর উপর এবং কপালের ডান পাশ কেটে রক্তাক্ত হয়ে জখম হয়। জাহাঙ্গীর চেচামেচি শুরু করলে এলাকা এসে তাকে উদ্ধার করে পরিবার খবর দিলে তারা তাকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।
এব্যাপারে ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রাকীবুজ্জামান জানান, অভিযোগ করা হয়েছে, সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের খুজে বের করে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
আহত জাহাঙ্গীর কন্ট্রাক্টর জানান, আমি সন্ত্রাসীদের কাউকে চিনতে পারিনি, হয়তো আমাকে হত্যা চেস্টায় এই হামলা করা হয়। আমি দোষীদের সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচার চাই।