আনোয়ারুল ইসলাম, ফুলবাড়ী,কুড়িগ্রাম
জমি চাষ করতে গিয়ে ট্রাক্টর উল্টে ঘটনা স্থানেই মর্মান্তিকভাবে মারা যান সুমন (১৭) নামে এক তরুন এবং গুরুতর আহত শিহাব( ১৬) নামের একজন। ঘটনাটি ঘটে আজ শনিবার ( ২৩ এপ্রিল) কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কিশামত শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের ঝাউকুটি গ্রামে। জানা যায়, ট্রাক্টরটি জমি থেকে রাস্তায় তুলতে গিয়ে উল্টে গিয়ে এই ঘটনা ঘটে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় জীবিকার সন্ধানে ট্রাক্টর ( মাঝারি গাড়ি )নিয়ে অন্যের জমি চাষ করতে বের হয় সুমন এবং গাড়ী মালিকের ছেলে শিহাব । সকাল থেকে বিভিন্ন জায়গায় জমি চাষ করা হলে গাড়ি নিয়ে চলে যান নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কিশামত শিমুলবাড়ী ঝাউকুটি গ্রামে।সেখানে সব জমি চাষ করা শেষে বাড়ি ফিরবার পথে গড়ি নিয়ে নিচু জায়গা থেকে উপরে উঠতেই সুমন ও শিহাব নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়ীর নিচে পড়ে যায়।সুমন ইন্জিনের নিচে পড়ে যায় এবং শিহাব গাড়ির বডির নিচে পড়ে যায়। দূর্ঘটনা টি এলাকাবাসীর চোখে পড়লে উপস্থিত কয়েজন দৌড়ে এসে গাড়ি সরিয়ে দুজনকে উদ্ধার চেষ্টা করেন।ততক্ষণে ঘটনাস্থলে সুমন মারা যান।এবং শিহাব কে রংপুর মেডিকেলে পাঠানো হয়।বর্তমানে সে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইমারজেন্সী বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
নিহত সুমনের বাবা বেলাল মিয়া (৪৫) একজন পেশাদার অটোচালক। তিনি জানান, আমরা দিন এনে দিন খাই। অভাবের তাড়নায় ছোটো ছেলে সুমন কাজে যায়।অনেক সহজ সরল ছিলো।কিন্তু তাকে এতো কম বয়সে হারাতে হবে তা কখনো ভাবিনি।
মা সুফিয়া বেগম (৩৫) জানান, সে প্রতিদিন সকালের ন্যায় আজকেও গাড়ী নিয়ে যায়।
আমার আদরের ছোটো ছেলে কে আর কোনো দিন পাবো না।একথা বলেই ডুকরে কেঁদে উঠেন সুমনের মা।
অপরদিকে ঘটনাটি জানতে পেরে গাড়ি মালিক শহিদ মিয়া (৪০) ছুটে যান গাড়ীর কাছে।ছেলে কে হাসপাতালে পাঠিয়ে চলে আসেন নিহত সুমনের বাসায়।তিনি বলেন সুমন ছিলেন ওনার নিয়মিত ড্রাইভার।প্রতিদিন সে এবং তার ছেলে শিহাব গাড়ী নিয়ে বের হয়।অনেক ভালো ছিলো সুমন।এভাবে বলে শহিদ মিয়া কেঁদে উঠেন। এবং নিহত সুমনের পরিবারের পাশে তিনি দাঁড়াবে বলেন আশ্বাস দেন।
ঘটনা টি তদন্ত করতে ফুলবাড়ি থানার (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম ঘটনা স্থান পরিদর্শন করেন এবং সুমন কে নিহত চিহ্নিত করেন। এসময় নিহত সুমানের ওয়ার্ডের মেম্বার সফিকুল ইসলাম (সাবু) মিয়া উপস্থিত ছিলেন এবং নিহতের পরিবার কে শান্ত্বনা দেন।